প্রেমের টানে কিশোরগঞ্জের গৃহবধূ সিলেটেঃ অতঃপর ৯জনে মিলে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি


বাংলা পোস্টঃ প্রেমের টানে কিশোরগঞ্জের এক গৃহবধূ ছুটে যান সিলেটে। সেখানে যাওয়ার পর পালাক্রমে ৯জনের কাছে ধর্ষিত হতে হয় ওই গৃহবধূকে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সিলেট এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ।


সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সিলেট এয়ারপোর্ট থানার লাউগুল গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে জামেদ আহমদ জাবেদের (৩৬) সাথে মোবাইলফোনে ওই গৃহবধূর পরিচয় হয়। ওই গৃবধূর বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। মোবাইলফোনে পরিচয়ের পর এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।


এরপর প্রতারক জাবেদ আহমদ ওই গৃহবধূকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং গৃহবধূর ২ সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করার প্রলোভন দেখায়।জাবেদের এ মিথ্যে প্রলোভনে গত ১০ জুলাই সিলেট চলে আসেন ওই গৃহবধূ।


সিলেটে যাওয়ার পর তাকে এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নে বুরজান চা-বাগানের সুন্দর মরাকোণা টিলার উপর একটি ছাউনিতে নিয়ে যায় জাবেদ। সেখানেই ঘটে আসল ঘটনা। এ ছাউনির আশেপাশে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকে জাবেদের সহযোগী কয়েকজন। তারা হচ্ছেন, এয়ারপোর্ট থানার ফড়িংউরা গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে ফয়সল আহমদ (২২), বাজারতল গ্রামের ইসরা হালিমের ছেলে রাসেল আহমদ (২৪) ও সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শুক্কুরের বাজার এলাকার জামিল আহমদ (২২)। প্রথমে এই ৪ জন মিলে কিশোরগঞ্জের ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।


এরপর ওই গৃহবধূকে আটকে রাখেন জাবেদ ও তার সহযোগিরা। দুই দিন আটকে রাখার পর ১৩ জুলাই ভোরে ঘটনাস্থলে যান জাবেদের সহযোগী আরও ৫ ধর্ষক। তারা হচ্ছেন- এয়ারপোর্ট থানার ফড়িংউরা গ্রামের মুজিবুরের ছেলে রুবেল (২৫), কামাল উদ্দিনের ছেলে ইমাম (২৫), ইশরাক আলীর ছেলে ফারুক (২৩), মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মো. মোশাহিদ আহমদ (২৭) ও জামালের ছেলে আবুল (২৬)। পরে এই ৫ জনও ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।


তাদের ধর্ষণের পর মঙ্গলবার(১৩ জুলাই) দুপুরে ঐ গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে এক পথচারীর মাধ্যমে পুলিশে খবর দেয়। পরে এয়ারপোর্ট থানার একদল পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। অভিযানে ধর্ষক জাবেদ ও মো. মোশাহিদ আহমদকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধর্ষক ফয়সল আহমদ ও রাসেল আহমদকে গ্রেফতার করে থানাপুলিশ।


এদিকে, ভিকটিমকে উদ্ধারের পর তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেছে পুলিশ এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

أحدث أقدم