বাংলাদেশে অবৈধ ফোনগুলো (স্মার্টফোন/ বাটনযুক্ত ফিচার ফোন) বন্ধ করে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি। এরজন্য সংস্থাটি নীতিমালাও তৈরি করেছে। এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো এর বিস্তারিতঃ
এই পোস্ট থেকে যা জানা যাবেঃ
১। নীতিমালায় কি আছে?
২। নিবন্ধন করবেন কিভাবে?
৩। সেটটি নিবন্ধিত কিনা যাচাই করার সহজ পদ্ধতি।
৪। নিবন্ধন করতে কতদিন সময় পাবেন?
৫। সচল কিন্তু অব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন হবে কিনা?
৬। একই মোবাইলে একাধিক সিম ব্যবহার করা যাবে?
৭। একটি হ্যান্ডসেটে ভিন্ন ভিন্ন সিম ব্যবহার করা যাবে?
৮। ফোন বিক্রি বা কাউকে দিতে চাইলে/ সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনলে করণীয় কী?
৯। বিদেশ থেকে ফোন কিনে আনলে বা বিদেশ থেকে ফোন উপহার আসলে করণীয়?
১০। মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে?
১১। কর্পোরেট সেট ও সিমের ক্ষেত্রে কী হবে?
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি জানিয়েছে দেশে পহেলা জুলাইয়ের পর থেকে নতুন কেনা কিংবা বিদেশ থেকে আনা সব মোবাইল হ্যান্ডসেট (স্মার্টফোন/ বাটনযুক্ত ফিচার ফোন) নিবন্ধন করতে হবে। এই সময়ে কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ উপায়ে যেসব ফোন আসবে, তার কোনটিই নিবন্ধিত হবে না।
তবে ৩০শে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত বৈধ-অবৈধ সকল সেটই নিবন্ধিত হয়ে যাবে। গ্রাহকদের হাতে থাকা কোন সেট বন্ধ হবে না।
বিটিআরসির মহাপরিচালক শামসুল আলম বলেছেন তারা প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র সেট বৈধ না অবৈধ সেটা চিহ্নিত করবেন। বৈধ সেটের তথ্য ডাটাবেজে তুলবেন। এর তিন মাস পর অবৈধ সেটগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবৈধ সেটের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে, সেটটি সচল, কিন্তু গ্রাহক সিমের সেবা যেমন মোবাইল ডেটা ব্যবহার কিংবা কল করা/ কল রিসিভ করার মতো কোন সেবা ব্যবহার করতে পারবে না।
মূলত, অবৈধ/নকল মোবাইল আমদানি, চুরি/প্রতারণা বন্ধে, অপরাধীদের সহজে চিহ্নিত করতে, গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়া সরকারি/ বেসরকারি সংস্থাগুলো মোবাইলভিত্তিক যে সেবা দিয়ে থাকে, যেমন: ভাতা/ বৃত্তি সেগুলো গ্রাহকের কাছে পৌঁছেছে কিনা সেটা সহজেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।